শুক্রবার অর্থাৎ ১৪ ই জুলাই অবশেষে তিন বছরের অক্লান্ত পরিশ্রম এর ফলস্বরূপ অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টারের লঞ্চিং প্যাড থেকে চ্ন্দ্রযান ৩ সফলভাবে উৎক্ষেপণ সম্ভব হয়।
এই সফলতার পিছনে যাঁরা অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত তাদের মধ্যে হেভি ইঞ্জিনিয়ারিং করপোরেশন (HEC) এর ইঞ্জিনিয়াররা অন্যতম। অথচ , গত ১ বছর ৫ মাস ধরে বিনা বেতনে তারা তাদের মাথার ঘাম পায়ে ফেলে অক্লান্ত পরিশ্রম করে গেছেন।
তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বর মাস থেকে এই সংস্থা বিনা বেতনে মোবাইল লঞ্চিং প্যাড এবং অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও জটিল যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে গেছে।
HEC হলো একটি ভারী শিল্প মন্ত্রণালয়ের অধীন অঙ্গীকারবদ্ধ একটি সরকারি খাত।
এটি রাঁচির ধুরওয়া এলাকায় অবস্থিত।
রিপোর্ট অনুযায়ী প্রায় ২৭০০ কর্মচারী এবং ৪৫০ আধিকারিক প্রায় গত ১৪ মাস কোনো বেতন পাননি।
তথ্যে এও জানানো হয় যে ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন, মিনিস্ট্রি অফ ডিফেন্স , রেল কোল ইন্ডিয়া এর তরফ থেকে ১৫০০ কোটি টাকার অর্ডার দেওয়া সত্ত্বেও ৮০% এর ও বেশী কাজ বাকি ছিল মূলধনের অভাবে।
তথ্যানুসারে, মিনিস্ট্রি অফ হেভি ইন্ডাস্ট্রিজ এর কাছে বারংবার ১০০০ কোটি টাকার মূলধনের জন্য অনুরোধ করা সত্ত্বেও তারা সরকার এর তরফ থেকে কোনো বাড়তি সাহায্য পাওয়া যাবে না বলে দাবি করে।
বিগত আড়াই বছরে HEC এর তরফ থেকে ব্যবস্থাপনা পরিচালকের প্রধান পদে কোনো স্থায়ী কর্মিনিয়োগ হয়নি বলে জানান হয়।
চন্দ্র যান ৩ এর তৈরি হতে প্রায় ৬০০ কোটি টাকা খরচ হয়।