বৃহস্পতিবার ব্রিজটাউনে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়েছে ভারত।
ভারতীয় বোলিং ইউনিট, প্রধানত স্পিনাররা এমন একটি অভাবনীয় প্রদর্শন দেখায় যা ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং দুর্গকে সম্পূর্ণরূপে ছাপিয়ে দেয়, কিন্তু প্রয়োজন আছে ব্যাটিং ইউনিটের ওপর নজরের।
যখন আপনার ৫০ ওভারের ম্যাচে প্রয়োজন মাত্র ১১৫ রান, তখন কোচ রাহুল দ্রাবিড় আর ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা বাটন থামিয়ে দিলেন টিমের তরুণদের হাথে।
প্রথমে ব্যাটিং করতে নামেন শুভমন গিল ও ইশান কিশান।
শুরুতে বিশেষত শুভমনের ও ইশান-এর খেলাতে দেখা গিয়েছিলো ধৈর্য কিন্তু শুভমনের উইকেটের পর একসেলেরাটরে পা রাখেন ইশান।
ভারতের জন্য ODI-তে ২০০ রানের গন্ডি পের্ করেছেন গুটি কয়েক নাম করা ব্যাটার, তার মধ্যে অন্যতম ইশান কিশান। সেই কারণেই তার অর্ধশতরান খুব বেশি মনে দাগ কাটেনি। তবে তাকে ওপেনারের ভূমিকায় বিশ্বকাপে কতটা এগিয়ে রাখবে ম্যানেজমেন্ট তা দেখার বিষয়।
কিন্তু আমার সব চেয়ে বড়ো প্রশ্ন এখানে সূর্যকুমার যাদব কে নিয়ে। তিনি এক অসাধারণ ব্যাটার তার কোনো দ্বিমত নেই, তবে কাল তার খেলার ধরণ অবশ্যৈ প্রশ্ন তোলার মতন।
তার aggressive ব্যাটিং স্টাইল ২০ ওভারের ম্যাচে মানা যায়, কিন্তু ৫০ ওভারের ম্যাচে একদমই না।
তিনি লাগাতার ৪ বলে স্বীপ মারেন, তার মধ্যে প্রথমটায় আসে ৪ রান,পরপর দুটো মিস এবং শেষে LBW। তার কয়েক ম্যাচের ফর্মের ভিত্তিতে আমার মনে হয়, স্যামসনকে ভারতীয় ক্রিকেট ম্যানেজমেন্ট-এর এবার সুযোগ দেওয়া উচিত।
যখন খেলার শেষে, স্কোরকার্ড-এ ১১৮ রানে ৫ উইকেট, কিন্তু খেলতে নামেননি কিং কোহলি, তখন এটি ইঙ্গিত দেয়,কোচ রাহুল দ্রাবিড়ের আসন্ন বড়ো ইভেন্টের জন্য মিডল অর্ডারের একটা অডিশনের। তিনি চেয়েছিলেন তার ইতিমধ্যে প্রমাণিত ব্যাটার কোহলি ও রোহিত কে বিশ্রাম দিয়ে অন্যদের সুযোগ করে দেওয়ার।
তবে তিনি কি সফল?
আমার মতে না।
সূর্যকুমারের ব্যাটিং পজিশন টা ঠিক কি সেটাও ভাবার বিষয়। তারপর যখন শ্রেয়াস ইয়ের ফিরে আসবে স্কোয়াডে, তখন কে পড়বে বাদ?