বেনরাস বা বারানসি শহরের রাস্তায় রথযাত্রার শুভদিনে প্রতি বছর ধুমধাম করে রথ উৎসব এবং মেলা পালিত হয়। এই মেলা প্রায় ২০০ বছরের পুরনো এবং এই বছরও এই ঐতিহ্য বহন করে মেলা পালিত হয়। ভগবান জগন্নাথ বলরাম এবং তাঁদের একমাত্র বোন সুভদ্রার রথ সুসজ্জিত অবস্থায় দর্শনার্থীদের ভিড় এর মধ্যে দিয়ে এগিয়ে চলে।
মন্দির কমিটির তরফ থেকে অত্যন্ত শ্রদ্ধা এবং ভক্তির সাথে এই রথযাত্রা এবং মেলার আয়োজন করা হয়।
এই মেলার জন্য জগন্নাথ রথযাত্রার আয়োজন করা হয়, যা দেখতে দেশ বিদেশ থেকে উৎসাহিত ভক্তবৃন্দের সমাগম হয়।
এই মেলা কেবল এক ধার্মিকতার উৎসস্থলই নয় , বরং স্থানীয় এলাকার আর্থিক বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
রথযাত্রার মেলা
এই রথযাত্রা এবং মেলার আয়োজন মন্দির কমিটির তরফ থেকে প্রতি বছর অত্যন্ত ধুমধামের সাথে আয়োজন করা হয়ে থাকে।
স্থানীয় প্রশাসন, পুলিশ এবং অন্যান্য সেচ্ছাসেবী সংগঠন এর তরফ থেকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া হয়।
দেশবিদেশ থেকে জাতি ধর্ম নির্বিশেষে সব সম্প্রদায়ের মানুষ এখানে একতার প্রতীক হিসেবে এই মহামিলন স্থলে অংশগ্রহণ করেন।
মেলার সময়কাল
এই মেলা ৯ দিন পর্যন্ত চলে। এই দিনের মেলায় বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রিত হয়ে উপাসনা, ভোজন, ভক্তিগীতিতে মেতে থাকেন।
জগন্নাথদেব,বলরাম, এবং সুভদ্রার মূর্তি রথে থাকে এবং দূরদূরান্ত থেকে মানুষ তাদের আরাধনায় ছুটে আসেন।
এই মেলা বারাণসীর রাস্তায় আলোর ঝর্না বইয়ে দেয়। শহর জেগে ওঠে উৎসবের মেজাজে। বাজারে পাওয়া যায় নানান রকম এর প্রসাদ থেকে শুরু করে খাদ্যদ্রব্য, প্রসাধনী সামগ্রী ও আরো অনেক কিছু।
এই রথযাত্রার সাথে সাথে বারানাসির বিভিন্ন মন্দিরে বাবা বিশ্বনাথের পূজা অর্চনার সাথে সাথে নানান ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
এই মেলায় ধর্মীয় অনুষ্ঠান ছাড়াও লোকে তাদের পরিবার পরিজন এবং বন্ধুবান্ধবের সাথে সময় কাটাতে আসেন।
এই মেলার মাধ্যমে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ছাড়াও ভারতীয় সংস্কৃতি, নৃত্য এবং সঙ্গীতের বিষয়ে প্রমুখ জ্ঞান অর্জন করা যায়।
২০০ বছর পূর্তির উপলক্ষে এই বছর মহা ধুমধামের সাথে পালিত হচ্ছে এই মেলা।
তাই দেরি না করে বাবা বিশ্বনাথের সাথে সাথে শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা উৎসবে অংশ নিতে এই পুণ্যভূমি বারানসিতে নিজের পরিবার নিয়ে ঘুরে আসুন।