বর্ষা শুরুর সাথে সাথেই আবার বাড়ল ডেঙ্গির দাপট। পশ্চিমবঙ্গে তথা কলকাতায় ক্রমশ ভয়াবহ আকার ধারণ করছে ডেঙ্গি। জেলায় জেলায় বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। যার ফলে প্রাণ যাচ্ছে বহু মানুষের। এই পরিস্থিতিতে আবার স্বাস্থ্যভবনের তরফে জারি করা হল এক বিশেষ নির্দেশিকা। এই নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, কোন কোন উপসর্গ দেখে ডেঙ্গির টেস্ট করাতে হবে।
কোন কোন উপসর্গ দেখলেই ডেঙ্গির টেস্ট:
- ২-৭ দিনের জ্বর, সাথে মাথার যন্ত্রণা
- গায়ে হাতে পায়ে ব্যথা
- দুর্বলতা
- শরীরে লাল গোটা
- বমি বমি ভাব
- ফোলা গ্রন্থি
- শরীরের কোনও অংশে রক্তক্ষরণ
এই উপসর্গগুলো দেখতে পাওয়া গেলে বেশি দেরি না করে সঙ্গে সঙ্গে ডেঙ্গি টেস্ট করাত হবে। পাশাপাশি, এই নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে যদি দুদিনের বেশি ধূম জ্বর থাকে, তবে অন্য কোনো উপসর্গ না থাকলেও, অবশ্যই ডেঙ্গির টেস্ট করাতে হবে।
স্বাস্থ্যভবনের তরফে আগেই ডেঙ্গি মোকাবিলায় প্লেটলেট সংক্রান্ত গাইডলাইন জারি করা হয়। কারণ, রাজ্যে ডেঙ্গির প্রকোপ বাড়লেই প্লেটলেটের অভাব দেখা দেয়। তাই সেই অভাব মেটানোর জন্য গাইডলাইন জারি করেছে স্বাস্থ্যভবন। গাইডলাইনে বলা হয়েছে-
- রোগীর প্লেটলেট কাউন্ট ১০ হাজারের নীচে গেলে প্লেটলেট দেওয়া যাবে।
- যেসব রোগীদের প্লেটলেট কাউন্ট ১০ থেকে ২০ হাজারের মধ্যে, সেক্ষেত্রে রক্তপাত না হলে প্লেটলেট দেওয়ার প্রয়োজন নেই।
- কোন গ্রুপের প্লেটলেট প্রয়োজন, তা প্রেসক্রিপশনে উল্লেখ করতে হবে।
প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ
যে মশা ডেঙ্গু ছড়ায় তারা দিনের বেলায় বেশি সক্রিয় থাকে। কিছু জিনিস ব্যবহার করে মশার কামড় থেকে নিজেকে রক্ষা করে ডেঙ্গু হওয়ার ঝুঁকি থেকে বিরত থাকুন:
- এমন পোশাক পড়ুন যা আপনার শরীরের যতটা সম্ভব ঢেকে থাকে
- দিনের বেলা ঘুমালে মশারি
- পোকামাকড় নিরোধক স্প্রে
- জাল করা জানালার পর্দা
- মশা নিরোধক (DEET, Picaridin বা IR3535 ধারণকারী) কয়েল এবং vaporizers.
আপনি যদি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হন তবে এটি করা গুরুত্বপূর্ণ:
- বিশ্রাম করুন
- প্রচুর তরল পান করুন
- ব্যাথার জন্য অ্যাসিটামিনোফেন (প্যারাসিটামল) ব্যবহার করুন
- আইবুপ্রোফেন এবং অ্যাসপিরিনের মতো অ-স্টেরয়েডাল অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ড্রাগগুলি এড়িয়ে চলুন
গুরুতর লক্ষণগুলির পরিলক্ষিত করুন এবং যদি আপনি কোন লক্ষণ পরিলক্ষিত করেন তবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন।