‘গতিধারা’ শব্দটির মানে সত্যি অভাবনীয়। একাধারে এই শব্দটি জীবনে স্রোতের মাহাত্ম বোঝায় ‘ধারা’ অংশটি দিয়ে, ওপর দিকে আমাদের জীবনে ‘গতি’-র প্রয়োজনীয়তা প্রকাশ্যে আন্তে সাহায্য করে।
ঠিক এই চিন্তা মাথায় রেখে আমাদের রাজ্য সরকার, মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীর নির্দেশে, ‘গতিধারা’ নামক প্রকল্পটি প্রস্তাব করে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার আগস্ট 2014 সালে গতিধারা প্রকল্প চালু করেছিল। এই প্রকল্পটি ফেব্রুয়ারি বাজেটে, আমাদের অর্থমন্ত্রী রূপরেখা দিয়েছিলেন।
এই প্রকল্পটি রূপান্তরিত করার পিছনের ভাবনা সত্যি অভূতপূর্ব।
আধুনিক প্রযুক্তির বিকাশে পরিবহন একটি মৌলিক অংশ। পরিবহনের মাধ্যমে মানুষ একসাথে বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারে, যা ব্যক্তিগত ও আর্থিক উন্নতি বৃদ্ধি করে। পরিবহন ব্যবসায়িক কাজে প্রয়োজনীয়তা অপরিসীম, বিভিন্ন প্রোডাক্ট এবং সেবার বিনিময়ও সহজ করে।
এই প্রকল্পের আওতায়, না শুধু পরিবহন দফতরের বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে, এছাড়াও বেকারত্বের মতন এক কঠোর প্রশ্নের বিরুদ্ধে এক উত্তর।
এই প্রকল্পের সুবিধা অপরিশিম, এবং এর সুবিধা বৃত্তান্ত নিচে দেওয়া হলো:
- বেকারত্ব কমাতে, যুবক দের এই প্রকল্পটির খাতিরে বাণিজ্যিক যানবাহন কিনতে সাহায্য করা হবে।
- এর দ্বারা আসছে দিনে, কর্মসংস্থান বাড়বে।
- পারমিট পাওয়ার ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের অগ্রাধিকার দেওয়া হয়।
- আবেদনকারীরা বাণিজ্যিক গাড়ি কেনার জন্য ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ হিসাবে টাকা নিতে পারবে।
- আরেকটা প্রধান সুবিধা হলো ঋণ পরিশোধের কোন সময়সীমা নেই।
প্রয়োজনীয় কাগজপত্র:
- বয়স প্রমাণের ফটোকপি
- ভর্তুকি জন্য আবেদন ফর্ম
- পরিচয় প্রমাণ
- পাসপোর্ট সাইজের ছবি
- পারিবারিক আয়ের শংসাপত্র
- স্ব-ঘোষণা
- পারমিটের জন্য আবেদনপত্র
- এমপ্লয়মেন্ট ব্যাঙ্কে তালিকাভুক্তির প্রমাণ
- ঠিকানার প্রমাণের নথি
- ব্যাংক A/C এর প্রমাণের ফটোকপি
25,000 টাকা বা তার কম মাসিক আয়ের পরিবারগুলি এই প্রকল্পের অধীনে আর্থিক সহায়তার জন্য যোগ্য।
পরিবহন বিভাগ আবেদনকারীদের সাক্ষাৎকার নেবে এবং যোগ্য প্রার্থীদের একটি তালিকা তৈরি করা হবে। শ্রম দফতর টাকা দেবে, কিন্তু পরিবহণ দফতর এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে সাহায্য করবে। পরিবহণ পরিষেবার প্রচারের মাধ্যমে, রাজ্যের শহর ও গ্রামীণ এলাকায় কর্মসংস্থান তৈরি করা, এই প্রকল্পের মহৎ উদ্দেশ্য।