শিশুরা ঈশ্বরের এক রূপ। তারা মহাবিশ্বের সবচেয়ে দয়ালু প্রাণীদের মধ্যে একজন, তারা আপনাকে কোন প্রতিশ্রুতি ছাড়াই ভালবাসে। এবং যখন এই সুন্দর শিশুরা স্বাস্থ্যগত অশান্তির মধ্য দিয়ে যায়, তখন গোটা পৃথিবী যেন প্রাণহীন হয়ে ওঠে।
এই ভাবনা অনুপ্রেরণা দেয় আমাদের মাননীয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকে এক প্রকল্প প্রস্তুত করতে ‘শিশু-সাথী’ নামে। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য হলো বাংলার শিশুদের প্রতি সহানুভূতি এবং সাহায্যের আহ্বান জানানো, তাদের সুরক্ষা ও সুবিধার জন্য বিভিন্ন উপায়ে কাজ করা।
‘শিশুসাথী’ স্কিম হল পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রীর একটি খুব কাছের প্রকল্পের যা প্রতিশ্রুতি দেয় যে সমস্ত শিশুদের হৃদযন্ত্রের অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন, পিতামাতা যতই ধনী বা দরিদ্র হোক না কেন তাদের বিনামূল্যে চিকিৎসা দেওয়ার।
আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ২১শে আগস্ট, ২০১৩-এ এই প্রকল্পটি চালু করেছিলেন, এবং তার পাশে এসে দাঁড়ায় ৩টি প্রাইভেট হাসপাতাল এবং কিছু সরকারি হাসপাতাল।
আবেদনকারীর যোগ্যতার মানদণ্ড :
- ০ থেকে ১৮ বছর বয়সী সকল শিশু যারা হৃদরোগে আক্রান্ত এই সুবিধার লাভ পাবে।
- সুবিধা পাওয়ার জন্য কোন আয়ের মানদণ্ড নেই।
এই স্কিমের প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলির মধ্যে রয়েছে:
- রাজ্য সরকার হৃদরোগ সনাক্ত করতে সরকারি স্কুলে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে,
- রাজ্য সরকার 12 বছর পর্যন্ত হৃদরোগে আক্রান্ত শিশুদের জন্য বিনামূল্যে কার্ডিয়াক সার্জারি প্রদান করে,
- পারিবারিক আয় নির্বিশেষে সমস্ত শিশু যোগ্য,
- সমস্ত খরচ রাজ্য সরকার বহন করে।
প্রকল্পের অধীনে থাকা হাসপাতালের তালিকা:
নিম্নলিখিত হাসপাতালগুলি শিশু সাথী প্রকল্পের অন্তর্ভুক্ত:
- আইপিজিএমইআর, কলকাতা
- আরএন ঠাকুর, ইন্টারন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ কার্ডিয়াক সায়েন্সেস, কলকাতা
- বি এম বিড়লা হাসপাতাল, কলকাতা
- মিশন হাসপাতাল, দুর্গাপুর
যোগাযোগ:
জেলার সিএমওএইচ/ ব্লক স্তরের বিএমওএইচ/ কলকাতায় ডিএফডব্লিউও।
প্রকল্প বিষয়ে বিশদে জানাতে নিচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করুন :