অসহায় যাত্রী যারা অনেকেই নিজস্ব গাড়ি চালিয়ে আসেন হাসপাতাল অথবা পাসপোর্ট অফিসে, অজান্তেই কোনো মতবিরোধ ছাড়া বেআইনি ভাবে চাওয়া পার্কিং চার্জ দিতে বাধ্য হন।
রুবি হাসপাতালের পিছনে পাসপোর্ট অফিসের সামনে সর্বনিম্ন ১০০ টাকা থেকে শুরু হয় যে কোনো গাড়ির পার্কিং চার্জ ।
কোনো গাড়ির মালিক তা দিতে অস্বীকার করলে তাদের পার্কিং এর অনুমতি নাকচ করা হয়। দু চাকার মোটর সাইকেল এর পার্কিং চার্জ সর্বনিম্ন ৪০ টাকা থেকে শুরু।
পার্ক সার্কাস এর মনুদা বলে এক ব্যক্তিই এই পার্কিং এর এলাকার প্রধান দায়িত্ব নিয়েছেন বলে অভিযোগ এক পার্কিং এলাকার একজন কর্মীর।
বালিগঞ্জ এলাকায় বসবাসকারী একজন ভদ্রমহিলা গত সপ্তাহে পাসপোর্ট অফিসের বাইরে তার গাড়ি পার্কিং এর জন্য ১০০ টাকা দিতে অস্বীকার করায় তাকেও এই একই কথা জানানো হয় বলে অভিযোগ।
সরকার কি মুনাফা লাভ করছে?
এই প্রশ্ন ওঠায় CMDA ( The Calcutta Metropolitan Development Authority) এর দুজন উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানান যে কোনো সংস্থার পাসপোর্ট অফিসের পিছনের এই এলাকার পার্কিং চার্জ করার কোনো অধিকার নেই। CMDA এর তরফ থেকে আগে এক সংস্থাকে দায়ভার দেওয়া হলেও বর্তমানে যে পার্কিং চার্জ নেওয়া হচ্ছে তা পুরোপুরি বেআইনি বলেই জানান CMDA আধিকারিকবর্গ। বিশ্বরূপ বোস বলে প্রেস্টিজ ফি কার পার্কিং সোসাইটি এর মালিক জানান যে এই এলাকার দায়ভার ২০২২ এর অক্টোবর মাস অবধি তার উপর ছিল। CMDA এর তরফ থেকে তা পরে বাতিল করা হয়।
পার্কিং এলাকায় কোনো সঠিক পার্কিং চার্জ লেখা বোর্ডের অনুপস্থিতি এই পার্কিং মাফিয়াদের বেআইনি টাকা সংগ্রহের মূল কারণ বলে জানা যায়। CMDA আধিকারিক জানান যে ১০ টাকা প্রতি ঘন্টা হলো আসল পার্কিং রেট যার দশগুণ বেশি সংগ্রহ করছে পার্কিং এলাকার এই মাফিয়া দল।
বালিগঞ্জ এলাকার সেই মহিলা সেদিন এও জানান যে পার্কিং এর কোনো সংশাপত্র বা রিসিপ চাওয়ায় তাকে জানানো হয় এই এলাকায় পার্কিং এর জন্য কোনো রিসিপ দেওয়া হয় না।
আনন্দপুর পুলিশ স্টেশনের একজন পুলিশকর্মী জানান যে CMDA এর তরফ থেকে তাদের কাছে সাহায্য চাওয়া হয়েছে তবে অফিসার জানান যে আসল দোষীদের এখনো সনাক্ত করা যায়নি।