বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটার না আছে দক্ষতা, না আছে ইচ্ছাশক্তি। শিমরন হেটমায়ার এবং ওশানে টমাসদের স্কোয়াডে এনেও যে তিমিরে ছিল, সেই তিমিরেই রয়েছে ক্যারিবিয়ান ক্রিকেট। তা নাহলে ঘরের মাঠে কখনও ১১৪ রানে দুমড়ে যায় দু’বারের বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের ইনিংস!
তাও আবার মাত্র ২৩ ওভারে। জবাবে ২২.৫ ওভারেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় টিম ইন্ডিয়া (১১৮-৫)। পাঁচ উইকেটে জিতে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল রোহিত-ব্রিগেড।টেস্ট সিরিজে রান পাননি শুভমান গিল। প্রথম ওয়ান ডে’তে তাঁর সংগ্রহ ৭। হতাশ করলেন সূর্যকুমার যাদব (১৯), হার্দিক পান্ডিয়াও (৫)। ব্যর্থ শার্দূল ঠাকুরও (১)। আসলে এদিন তরুণদের দেখে নিতে ব্যাটিং অর্ডারে নীচের দিকে নেমে গিয়েছিলেন রোহিত ও বিরাট। সুযোগটা কাজে লাগালেন একমাত্র ইশান কিষান। ওপেনিংয়ে নেমে ৪৬ বলে ৫২ রান করলেন তিনি। পাঁচ উইকেট পড়ার পর জাদেজাকে (অপরাজিত ১৬) সঙ্গে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন অধিনায়ক রোহিত (অপরাজিত ১২)।
পর একদিনের ফরম্যাটেও অভিষেক হল মুকেশের। সহ-অধিনায়ক হার্দিকের সঙ্গে নতুন বলে তাঁর যুগলবন্দি বেশ নজর কাড়ল।
ভারতকে প্রথম উইকেট এনে দেন হার্দিক। তারপর মুকেশ ও শার্দূল ফেরান আথাঞ্জি (২২) ও ব্রেন্ডন কিংকে (১৭)। ধাক্কা সামলে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ মাথা তোলার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু বাকিদের থেকে সেভাবে সাহায্য তিনি পাননি।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ সাতটি উইকেট পড়েছে মাত্র ২৬ রানে। প্রাপ্ত সুযোগের সদ্ব্যবহার করলেন চায়নাম্যান বোলার কুলদীপ। তিন ওভার হাত ঘুরিয়ে দু’টি মেডেন সহ মাত্র ৬ রান দিয়ে নিলেন ৪ উইকেট।
রবীন্দ্র জাদেজার স্পিন খেলতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যায় ক্যারিবিয়ান ব্যাটাসম্যানদের। তারই মধ্যে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হন শাই হোপ। কুলদীপের বলে ৪৩ রানে বোল্ড হন তিনি।
কিন্তু এমন একটা অবলাকান্ত টিমের বিরুদ্ধে খেলে সত্যিই কি অভিষ্ট পূরণ হবে রোহিত শর্মাদের? সিরিজে বাকি আর দুটো ম্যাচ , হোপ বাহিনী কি পারবে পরবর্তী খেলায় সমতা ফেরাতে তা জানতে হলে আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৯ তারিখ সন্ধ্যায় ডি ডি ডি স্পোর্টস অথবা জিও সিনেমার পর্দায়।