বন্দে ভারত ট্রেনটি প্রথম চালু হয় ২০১৯ এর ফেব্রুয়ারি মাসে । ট্রেনটির যাত্রাপথ ছিল বারাণসী থেকে নিউ দিল্লী এবং নিউ দিল্লী থেকে বারাণসী। এই ট্রেনটির বিশেষত্ব হলো মেট্রো রেল এর মত স্বয়ংসম্পূর্ণ (অটোমেটিক) দরজা এবং দ্রুত গতিবেগ।
বাংলার প্রথম বন্দে ভারত চলা শুরু হয় গত বছর , ২০২২ এর ডিসেম্বর মাসে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উপস্থিতিতে হাওড়া থেকে নিউ জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে প্রথম ৩০ ডিসেম্বর প্রথম যাত্রা শুরু হয় বন্দে ভারত এর । ঘণ্টায় ১০০ থেকে ১৩০ কিলোমিটার বেগে চলা এই ট্রেন মাত্র সাড়ে ছয় ঘণ্টায় গন্তব্যে পৌঁছে দেয়।
চলতি বছরের এপ্রিল মাসের রিপোর্ট অনুযায়ী আরো তিনটি বন্দে ভারত হাওড়া স্টেশন থেকে চলা শুরু হবে বলে জানা যায়।
- হাওড়া – পুরী
- হাওড়া – রাঁচি
- হাওড়া – পাটনা
তবে এ ছাড়াও পূর্ব রেল এর পরিকল্পনা অনুযায়ী শিয়ালদা থেকেও প্রথম বারের জন্যে বন্দে ভারত চলা শুরু হবে বলে জানা গিয়েছে।
যাত্রাপথ
পরিসংখ্যান অনুযায়ী, শিয়ালদা থেকে যাত্রা শুরু করে নৈহাটি জংশন, কল্যাণী, রানাঘাট, কৃষ্ণনগর, বহরমপুর কোর্ট হয়ে মুর্শিদাবাদ স্টেশন পর্যন্ত যাবে এই শিয়ালদা – লালগোলা বন্দে ভারত এক্সপ্রেস।
বন্দে ভারত সময়সূচি
শিয়ালদা থেকে যাত্রা শুরু হবে আনুমানিক সকাল ৯ টা বেজে ১০ মিনিটে এবং লালগোলা থেকে শিয়ালদা গামী ট্রেনটি আনুমানিক দুপুর ৩ টে ৫০ মিনিটে ছাড়বে । ট্রেনটির গতিবেগ ঘণ্টায় আনুমানিক ৫২ কিলোমিটার এবং প্রায় ২৩১ কিলোমিটার রাস্তা (শিয়ালদা থেকে লালগোলার দূরত্ব) যেতে ট্রেনটির সময় লাগবে প্রায় ৪ ঘণ্টা ২৫ মিনিট।
বন্দে ভারত ট্রেনটির দ্রুত গতিবেগের কারণে অনেক দূরের যাত্রাপথও অনেক কম সময় যাতায়াত সম্ভব হয়েছে। এই ব্যস্তময় জীবনে দূরকে নিকট করার এইরকম উদ্ভাবনী আবিষ্কার সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ।
চলতি বছরের মধ্যেই অনেকগুলি বন্দে ভারত ট্রেনের চলাচল মানুষের অত্যন্ত উপকারে লাগবে।।