“বেপরোয়া খেলার সাহস।
খেলার বিবেক, খেলার নবাব।
আমরাই ভীনদেশীদের,
বিরুদ্ধে এই দেশের জবাব।”
সত্যিই তাই, ওই ১১ জন দামাল ছেলের অদম্য লড়াইয়ে ভর করেই ব্রিটিশ শাসনেই ভারতবাসী পেয়েছিলো স্বাধীন হওয়ার আস্বাদ। ইতিহাস একদিনে তৈরি হয়নি বা হতে পারে না ।আমাদের ভারত মা ও একদিনে স্বাধীন হয়নি অনেক কষ্ট অনেক জ্বালা যন্ত্রণা লড়াই এর পর আমাদের ভারত মা স্বাধীন হয় আর সেই লড়াই এর একটা অঙ্গ ছিল ১৯১১ এর আজকের দিনে আই এফ এ শিল্ড জয় । ইংরেজরা ভয়ে রাজধানী বদল করে ছিল সেদিন শুধু মোহনবাগান জেতেনি জিতেছে পুরো ভারত বর্ষ । প্রতিবছরের মতো এই বছরেও ২৯শে জুলাই মোহনবাগান দিবস পালন করা হবে মোহনবাগান তাঁবুতে।
মোহনবাগান দিবস’ উপলক্ষে ২৯ জুলাই ক্লাব তাঁবুতে জমজমাট অনুষ্ঠান, গত কয়েক বছর ধরেই সমর্থকদের অন্যতম আকর্ষণ। আর এবার সেই অনুষ্ঠান একদিনের নয়, হবে দু’দিন ধরে। অর্থাৎ, ২৯ জুলাইয়ের পাশাপাশি অনুষ্ঠান হবে ৩০ জুলাইও। এমনটাই জানিয়ে দিলেন ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্ত। ২৯ জুলাই দুপুর ১২:৩০ মিনিট থেকে শুরু হবে প্রাক্তন ফুটবলারদের প্রদর্শনী ফুটবল ম্যাচ। দুপুর ৩:৩০ মিনিটে সুব্রত ভট্টাচার্যের আত্মজীবনী ‘ষোলো আনা বাবলু’ আত্মপ্রকাশ করবে। এবছরও মোহনবাগান দিবসের মূল অনুষ্ঠান মঞ্চে উপস্থিত থাকবেন ‘অমর একাদশ’-এর সদস্যদের উত্তরসূরিরা। গতবার থেকেই তাঁদের মঞ্চে রাখা শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ফুটবল, ক্রিকেট আর হকিতে সাফল্যের আবহে এবার মোহনবাগান দিবসের অনুষ্ঠানে আরও বেশি সমর্থক যোগ দেবেন বলে মনে করছেন ক্লাব কর্তারা। প্রথমদিন হবে প্রাক্তন ফুটবলারদের প্রদর্শনী ম্যাচ। বিভিন্ন পুরস্কার দেওয়া সহ অন্যান্য অনুষ্ঠান হবে দ্বিতীয়দিন।
এইবছর মোহনবাগান রত্ন পুরস্কার পাচ্ছেন বিশিষ্ট ফুটবল প্লেয়ার গৌতম সরকার। এছাড়া সেরা ক্রীড়া উদ্যোক্তার পুরস্কার দেওয়া হবে নবাব ভট্টাচার্যকে। সেরা ক্রীড়া সাংবাদিকের অ্যাওয়ার্ড পাবেন জয়ন্ত চক্রবর্তী। সেরা ফরোয়ার্ড তথা সুভাষ ভৌমিক পুরস্কার দেওয়া হবে দিমিত্রি পেত্রাতোসকে। সেরা অ্যাথলিট মোহর মুখার্জি। সেরা তরুণ ফুটবলারের পুরস্কার পাবেন এংসন সিং। এবার থেকে দুটো নতুন পুরস্কার চালু হতে চলেছে। বর্ষসেরা হকি প্লেয়ারের অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হবে নীতেশ নিউপানেকে। বর্ষসেরা সমর্থককেও সম্মানিত করা হবে। প্রথম বছর সেই পুরস্কার পাবেন শান্তি চক্রবর্তী (দিদা) এবং কমলেশ উপাধ্যায়। পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানের আগে গান পরিবেশন করবেন লোপামুদ্রা মিত্র। শেষে পারফর্ম করবেন বাবুল সুপ্রিয়।
আমাদের সকলের আশা এই দিন বার বার ফিরে আসুক , প্রতি বছর ফিরে আসুক ভারতীয়দের কাছে। এই লড়াই ছিল সকল ভারতীয়র । এই লড়াই এ ছিল না কোনো ধর্ম , কোনো বর্ণ । প্রণাম জানাই সেদিন কার সেই ১১ জন সবুজ মেরুন এর সৈনিক ও সেই সময়কার কর্মকর্তাদের যারা সেদিন ইংরেজ দের চোখে চোখ তুলে লড়াই করেছিল । সকল কে জানাই শুভ মোহনবাগান দিবস।সবাই একসুরে বলি জয় মোহন বাগান।