১৫ অক্টোবর নবরাত্রি, আবার ওই দিনই হতে চলেছে বিশ্বকাপ ক্রিকেটে ভারত পাকিস্তান মহারণ। কিন্তু আদৌ কি ওই দিনে খেলা আয়োজন সম্ভব? বিসিসিআই এর তরফে কেউ কিছু প্রকাশ্যে না বললেও এটাও ঠিক যে, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আমেদাবাদে হবে, কিন্তু ১৫ অক্টোবর হবে না। নবরাত্রি পড়াতেই এই হাইভোল্টেজ ম্যাচ এগিয়ে আনার ভাবনাচিন্তা চলছে। সংশোধিত সূচি প্রকাশিত হলেই পরিষ্কার হবে ছবি।
আমেদাবাদে ভারত-পাক ম্যাচ দেখতে আগ্রহী ক্রিকেটপ্রেমীরা সবচেয়ে বড় সমস্যায় পড়েছেন হোটেল বুকিং করতে গিয়ে। কোনও হোটেলে বুকিং নেওয়া বন্ধ রাখা হয়েছে। কোথাও এমন দর যে ছ্যাঁকা লাগছে। নভোটেল হোটেলে ৯০ হাজার টাকা থেকে বুকিং শুরু। তাও আবার অ-ফেরতযোগ্য। ডাবল ট্রি হোটেলে বুকিং বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। হোটেল লেমন ট্রি প্রিমিয়ারে একদিনে থাকার জন্য দর হাঁকানো হয়েছে ৬০ হাজার টাকা, তাও এখন বুকিং বন্ধ। রেডিসন ব্লু হোটেলে ১ লাখ টাকা থেকে বুকিং শুরু। অ্যাডভান্স পেমেন্ট করতে বলা হচ্ছে, সেই টাকা অ-ফেরতযোগ্য। প্রাইড প্লাজা হোটেলে অন্তত ২ দিনের জন্য রুম বুক করতে হচ্ছে, সেখানেও দর ১ লক্ষ টাকা। অ্যাডভান্স বুকিংয়ের টাকা অ-ফেরতযোগ্য।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল আইসিসি নতুন বছরে ভারতে হতে চলা ওয়ানডে ওয়ার্ল্ডকাপের (One Day World Cup) শিডিউল (Schedule) সম্প্রতি ঘোষণা করেছে। টুর্নামেন্টের শুরু হচ্ছে ৫ অক্টোবর। যেখানে ভারতীয় দল নিজেদের প্রথম ম্যাচ ৮ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে খেলবে। কিন্তু ফ্যানদের সঙ্গে ম্যাচের তারিখ বদলে পাকিস্তান দলকেও সমস্যায় পড়তে হবে। পাশাপাশি ব্রডকাস্টাররাও এতে বিপাকে পড়তে পারেন। আসুন জেনে নি যদি এই ম্যাচ তারিখ বদলায় তাহলে কার কি সমস্যা তৈরি হবে।
এই পরিস্থিতিতে ভারত এবং পাকিস্তান ম্যাচের তারিখ বদলানোর জন্য বিসিসিআইকে সবার আগে ব্রডকাস্টারদের রাজি করাতে হবে। যা অত্যন্ত মুশকিল কাজ। এর বড় কারণ হলো যে ১৪ অক্টোবর একদিনে তিনটি ম্যাচ হলে ব্রডকাস্টাররা সমস্যায় পড়তে পারে। একই সময়ে দুটি ম্যাচ হলে ম্যাচের টিআরপি এবং বিজ্ঞাপনের ঘাটতি দেখা দিতে পারে। ম্যাচের তারিখ যদি বদলে ১৪ অক্টোবর করা হয়, তাহলে এতে বাবর আজমকে তাদের পাকিস্তান টিমকে নিয়ে সমস্যায় পড়তে হতে পারে। এর বড় কারণ হলো পাকিস্তান দল ১২ অক্টোবর শ্রীলঙ্কা থেকে হায়দ্রাবাদে ম্যাচ খেলবে এরপর ১৩ অক্টোবর তারা ফ্লাইটে আমেদাবাদ এবং এরপর ১৪ তারিখ ভারতের সঙ্গে ম্যাচ খেলবে ভারতীয় দলের বিরুদ্ধে | পাকিস্তানের টিম এতটা স্ট্রাগল করে এবং প্র্যাকটিস ছাড়া ম্যাচ খেলতে চাইবে না।
প্রথম থেকেই আমেদাবাদ স্টেডিয়ামে খেলা নিয়ে ঘোর আপত্তি পাকিস্তানের। আইসিসিকে এই আপত্তির বিষয়ে জানালেও ভেনু বদলানোর দিকে ঝোঁকেনি বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা। এই পরিস্থিতিতে পাকিস্তান কি রাজি হবে সময় পরিবর্তনের সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন?